কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই রেসিপি



কুমিল্লার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম রসমালাই। 


স্বাদে, গন্ধে ও মানে শতভাগ খাঁটি হওয়ায় দেশের পূর্বাঞ্চলের মানুষ ভরসা করে আসছে যুগ যুগ ধরে।জানা যায়, উনিশ শতকের প্রথম দিকে কুমিল্লার ঘোষ সপ্রদায় দুধ ঘন করে ক্ষীর বানিয়ে তাতে ছোট আকারের শুকনো ভোগ বা রসগোল্লা ভিজিয়ে যে মিষ্টান্ন তৈরি করে তা ক্ষীরভোগ নামে পরিচিতি পায়। 

ক্রমান্বয়ে এই ক্ষীরভোগ রসমালাই নামে পরিচিত হয়ে উঠে। খনিন্দ্র সেন ও মণিন্দ্র সেন নামের দুই ভাই রসমালাই তৈরি করে বিক্রি শুরু করলে তা খুব অল্প দিনের মধ্যে রসমালাইয়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। যেকোনো আচার-অনুষ্ঠান এবং মিষ্টি প্রিয় মানুষের কাছে রসমালাই এক প্রিয় নাম হয়ে ওঠে।

কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই রেসিপি -

উপকরণ :

🌼 ২ লিটার দুধ মালাইয়ের জন্য

🌼 ২ লিটার দুধ রসের জন্য

🌼 ১/২ ডিবা কনডেন্সড মিল্ক ( ইচ্ছা )

🌼 ৩ কাপ চিনি

🌼 চিনি ২ চা চামচ

🌼 লেবুর রস ১/২ কাপ

🌼 এলাচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ

🌼 ময়দা ২ চা চামচ

🌼 পানি ৮ কাপ

🌼 কর্ণফ্লাওয়ার ১ চা চামচ ( ইচ্ছা )

 

প্রণালি :

মালাই তৈরি-


দুধ গরম করে লেবুর রস দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। একটা সুতি কাপড়ে ছানা বেঁধে নিঙড়ে নিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবারে পানি ঝরানো ছানা হাতের চাপে ভাল করে ম্যাশ করে নিয়ে বড় থালায় ঢেলে ১০ মিনিট রাখুন। এবার ওর মধ্যে ২ চা চামচ ময়দা, ২ চা চামচ চিনি, এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে ভাল করে ৫ মিনিট ধরে মেখে ছানার দলা তৈরি করে নিন। এই বড় দলা থেকে হাতের তালুতে গোল করে ছোট ছোট ছানার বল গড়ে নিন।


একটা ডেকচিতে ৮ কাপ পানি ওর মধ্যে দুই কাপ চিনি সিরা তৈরি করুন। ফুটন্ত সিরায় মালাই দিন। হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট চুলায় রাখুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঘন্টাদুই রেখে দিন।সিরা থেকে মিষ্টি ছেঁকে নিতে হবে।


রস তৈরি-


একটা ডেকচিতে দুধ ফোটান। দুই লিটার দুধ ফুটিয়ে ঘন করে এক লিটার করুন। কনডেন্সড মিল্ক, ১ কাপ চিনি দিয়ে রস তৈরি করুন। রসের মধ্যে সিরা ছাড়া তৈরী করা মালাইগুলো ঢেলে দিন। কর্ণফ্লাওয়ার ভিন্ন একটি পাত্রে গুলে নিতে হবে। এবার কর্ণফ্লাওয়ার, দুধ ও মিষ্টি দিন। রসমালাই ৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা করার জন্য মালাইগুলোকে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।




নবীনতর পূর্বতন