১. ফ্যাটি বা মেদযুক্ত মাছঃ
স্যালমন,টুনা,ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ।এগুলো বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরী।একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলনামূলক ভাবে যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুবারের কম মাছ খায় তাদের সন্তানের আই.কিউ মাত্রা কম সেই সব মায়েদের থেকে যারা সপ্তাহে অন্তত দুবার মাছ খায়।
২. ডিমঃ
ডিম এ্যামিনো এ্যাসিড কোলিন সমৃদ্ধ,যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভাল হয় ও স্মরণশক্তি উন্নতি হয়।গর্ভবতী মহিলাদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত যার থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায়।ডিমে থাকা প্রোটিন ও লোহা জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়। কম ওজনের সাথে কম বুদ্ধি বা আই.কিউ-র সাথে সম্পর্ক রাখা হয়।
৩. দইঃ
আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে আপনার সন্তানের স্নায়ু কোষগুলো গঠনের জন্য।এর জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে।আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন দই ছাড়াও অন্য খাবার।দই-এ ক্যালসিয়াম আছে যেটা গর্ভাবস্থায় লাগে।
৪.পালং শাক,মেদ ছাড়া মুরগির মাংস ও বিনসঃ
এগুলো লোহা সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য করে।এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত।লোহা আপনার গর্ভস্থিত সন্তানের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এছাড়াও ডাক্তারের পরামরশে আপনার লোহার সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।
৫. ব্লুবেরিঃ
ব্লুবেরির মত ফল, আর্টিচোক (ডাটা গাছ),টমেটো ও লাল বিন্স এ্যান্টিওক্সিডেন্ট থাকে ও গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত।এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে।
৬. ভিটামিন ডি
এটা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব দরকার।এটা গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের ভিটামিন মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক দুর্বল হয়।ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ছাড়া সূর্য্যের আলো নিন।ডিম,চীজ্,বিফ,লিভার ইত্যাদি ভিটামিন ডি যোগায়।
৭. আয়োডিন
আয়োডিনের অভাব,বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আই.কিউ কম করে দিতে পারে।গর্ভাবস্থায় আয়োডিন যুক্ত নুন খান। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ,সামুক,ডিম,দই ইত্যাদি খান আয়োডিনের জন্য।
৮. ফলিক এ্যাসিডযুক্ত জন্মপূর্ব সাপ্লিমেন্ট
মস্তিষ্কের কোষ গঠনে ফলিক এ্যাসিড খুব প্রয়োজনীয়।একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে যেসব মহিলারা গর্ভবস্থায় সন্তান প্রসবের ৪ সপ্তাহ আগে ও ৮ সপ্তাহ পরে অবধি ফলিক এ্যাসিড নিয়ে থাকে তাদের ৪০ শতাংশ প্রবণতা কম হয় অটিস্টিক বাচ্চা জন্ম দেওয়ার।সবুজ শাক পাতা যেমন পালং শাক,ডাল ইত্যাদি ফলিক এ্যাসিড সরবরাহ করে।এছাড়াও ফলিক এ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি-১২-র সাথে খাওয়া উচিত।
আশা করি আপনি যদি উল্লেখিত খাদ্য তালিকা মেনে চলেন এবং ডাক্তারের পরামর্শে ব্যায়াম করেন তাহলে আপনি ও বেবি সুস্থ ও সবল থাকবে।