শরীর সুস্থ বা ফিট থাকলে প্রত্যহ মসুর ডাল খাওয়া
অবশ্য প্রয়োজনীয় বলা যেতে পারে।কেননা উদ্ভিদজ প্রোটিন হিসেবে মসুর ডালে রয়েছে
প্রচুর পরিমানে প্রোটিন যেটা নাকি মাছ মাংসে থাকা প্রোটিনের থেকে কিছু কম না।এছাড়া
রয়েছে ভিটামিন C E B কমপ্লক্স, ম্যাঙ্গানিজ,ফসফরাস,সোডিয়ামও জিঙ্ক….ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য মসুর ডাল। এর ইংরেজি নাম
Red lentil। এ ডালকে পানিতে সেদ্ধ করে তেল-মশলা সহযোগে রান্না করা হয় এবং রান্না
করা ডাল মিশিয়ে ভাত খাওয়া হয়। মানব দেহে আমিষের প্রয়োজনীয়তার
নিরিখে বলা হয়ে থাকে মসুর ডাল গরিবের জন্য মাংস।
মসুর ডাল খাওয়ার অপকারিতা আলোচনার আগে ভাগে একটু উপকারিতা সম্পর্কে
আলোচনা করা যাক তাই না !
উপকারিতাঃ
Ø মসুর ডালে থাকা উচ্চ
পরিমাণে ফাইবার বিপাক ক্রিয়াকে সক্রিয় করে খাবার হজমে সাহায্য করে এরফলে ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে পড়ে।
Ø হার্ট সচল রাখতে এমনকি
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।এছাড়া মসুর ডালে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন
জাতীয় উপাদান যথাযথ অক্সিজেন প্রেরণ করে শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য
করে।
Ø রক্তে শর্করার পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীরে ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
Ø মসুর ডালে থাকা ভিটামিন
সি ও বি কমপ্লেক্স শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে ও
সহায়তা করে থাকে।
Ø মসুর ডালে থাকা
পলিফেনাল উপাদানটি নাকি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Ø মসুর ডাল থাকা ভিটামিন
ই ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে এমনকি চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও সহায়তা করে
থাকে।
Ø মসুর ডালে থাকা উচ্চ
পরিমাণে প্রোটিন যেমন শরীরের মাংসপেশী গঠনে সহায়তা করে অন্য দিকে মসুর ডালে থাকা
ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাঁড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে।
Ø এছাড়াও মসুর ডালে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ফোলেট পূর্ণ উপাদান মস্তিষ্ককে সুস্থ রেখে মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। তাই গর্ভবর্তী মায়েদের গর্ভে থাকা সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে অবশ্যই প্রতিদিন পরিমাণ মতো মসুর ডাল খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
অপকারিতাঃ
Ø মসুর ডালে থাকা প্রচুর
পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে কিডনি স্টোন সৃষ্টি করে
কিডনিকে খারাপ করে দিতে পারে।তাই কিডনি বা বৃক্ক এর সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ মত পরিমাপেই মসুর ডাল খাওয়াই মঙ্গলজনক হবে।
Ø মসুর ডালে থাকা গ্লুটেন
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে মসুর ডাল
এড়িয়ে চলাই ভালো।
পরিশেষে যেটা বলার কিডনি এবং ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা না থাকলে শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রত্যহ সকলেরই মসুর ডাল খাওয়া অবশ্য কর্তব্য।আমার মতো মসুর ডাল প্রেমী হলে তো কথাই নেই!